আমার খুব কাছের, ঘনিষ্ঠ এবং খুব প্রিয় একজন মানুষ জনাব হাফিজুর রহমান। আমি কোনদিন স্বপ্নেও ভাবি নাই স্যারেকে নিয়ে স্মৃতিচারণ মূলক কিছু লিখব। স্যারের সাথে আমার ভাল একটা ছবিও নাই পর্যন্ত। দুঃ স্বপ্নের শুরু স্যারের অসুস্থতার খবর পাওয়ার মধ্য দিয়ে। এই লোক অসুস্থ হইতে পারে সেইটাও আমি কোনদিন চিন্তাও করি নাই। সপ্তাহের ৫ ৬ দিন দিন শুরু হইত সকাল ৭ টায়, "সাইফুল্লাহ নাস্তা কইরো না, আমি আস্তাসি একসাথে নাস্তা করব" এই কথা শুইনা। আর তার কিনা এরকম ভয়াবহ অসুখ, যার জন্য এত অল্প বয়সে এত অল্প সময়ে আমার মত কত ভক্ত শিষ্যকে বিশাল শোকের মাঝে রেখে চলে গেলেন অজানার পথে। আমি কার জন্য কি লেখব? কিভাবে লেখব? আমার বড় ভাই, আমার শিক্ষক নাকি আমার বন্ধুপ্রতিম শুভাকাঙ্ক্ষীর জন্য? যার জন্যই লেখি, লিখে শেষ করা যাবে না। ভাইয়ের সাথে পরিচয় ২০০৭ সালে, এরপরে ভাই হয়ে যান আমাদের শিক্ষক, এরপরে এক সময় আমি স্যারের সহকর্মী হয়ে যাই। প্রতিটা রুপান্তরের মাঝে সবসময় স্যার সবদিক দিয়ে আমাকে আগলে রাখছেন। স্যারের জন্যই কখনো কোন ভুল হয় নাই আমার দ্বারা। ব্যাচেলর, মাস্টারস মিলাইয়া স্যারের কাছে আমি কোর্স করেছি ১৬টার মত। স্যার এত অসাধারণ ক্লাস নিতেন যে, স্যারের ক্লাস মিস করার কথা কেউ চিন্তাই করতে পারত না। আমার কর্ম জীবনের বেশিরভাগ জিনিস ই আমি স্যারের কাছে শিখেছি । স্যারকে নিয়ে আর বেশি কিছু আমার দ্বারা লেখা সম্ভব না, এই ঝাপসা চোখ আর ভেজা মন নিয়ে। গুরু আপনি যেখানেই থাকেন জেনে রাখেন, আমি আপনাকে ছাড়া আর কোনদিন হাজীর বিরিয়ানি খাবো না। আবার যদি কোনদিন হয় দেখা ঐ অজানার পথে, অবশ্যই আমরা এক সাথে ফুল প্লেট খাবো এর আগে আর নয়। হে বন্ধু, বিদায়।
-"প্রিয়জন চলে গেলে মানুষই ব্যথিত হয়, আকাশ নির্বিকার, আকাশ কখনও নয়।
তোমরা মানুষ, তাই সহজেই দুঃখ পাও, হে ঈশ্বর, আমাকে আকাশ করে দাও।"
-"প্রিয়জন চলে গেলে মানুষই ব্যথিত হয়, আকাশ নির্বিকার, আকাশ কখনও নয়।
তোমরা মানুষ, তাই সহজেই দুঃখ পাও, হে ঈশ্বর, আমাকে আকাশ করে দাও।"